Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে
   ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে ’দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন -২০১২ অনুমোদন লাভের পর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (ডি ডি এম) অধীনে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়, সাপাহার,’নওগা  প্রতিষ্ঠিত হয় । দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন এই অধিদপ্তরের মান্ডেট - ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচি গ্রহনের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্যোগের বিপদাপন্নতা হ্রাস করা বিশেষভাবে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য কার্যকর মানবিক সহায়তা কর্মসূচি গ্রহণ করা , দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসএবং জরুরী সাড়াদানের সাথে সংশিস্নষ্ট বিভিন্ন সরকারী ও অ-সরকারী সংস্থাসমূহ কর্তৃক গৃহিত বিভিন্ন কর্মসূচিরর মধ্যে সমন্বয় সাধন । দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ও পরিকল্পনা সম্পর্কিত সরকারের নির্দেশাবলী এবং সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের (ডি ডি এম) অন্যতম দায়িত্ব।
 
ভৌগলিক ও ভূতাত্বিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবন দেশ । জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দুর্যোগের প্রকোপ যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে এর ক্ষতির মাত্রা ও ক্ষতির পরিধি এবং সাথে সাথে প্রতিনিয়ত বাড়ছে জনগোষ্ঠীর ঝুঁকি । বিগত দশকে দুর্যোগ ঘটনের সংখ্যা ও তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে । ঘুর্নিঝড়ের পথ পরিবর্তন ও ঘটনের সংখ্যা, তীব্রতা বৃদ্ধিতে দুর্যোগ প্রস্তুতি কার্যক্রম, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে । বাংলাদেশে ১৬ কোটির বেশী জনগনের বসবাস যা পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী ঘনবসতির দেশ হিসেবে পরিচিত । এর মধ্যে ৩ কোটি লোক সমুদ্র উপকুলে বসবাস করে যাদেরকে প্রতিনিয়ত ঘুর্নিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, লবনাক্ততাসহ অন্যান্য ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হয় । প্রায় ৪ কোটি লোক বন্যার দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে । সেই সংগে খরা, লবনাক্ততা, সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ইত্যাদি ধীরগতির (Slow onset) দুর্যোগসমূহ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আস্তে আস্তে প্রকটতর হচ্ছে । এতদসত্তেও বিগত দুই দশকে বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের মৃতের সংখ্যা সাফল্যজনকভাবে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে । ১৯৭০ সালের ঘুর্নিঝড়ে যেখানে ৩ লক্ষ মানুষ মৃত্যুবরন করেছিল, ২০০৭ সালের সুপার সাইক্লোন সিডরএ সেই মৃতের সংখ্যা মাত্র ৩ হাজারে নেমে এসেছে । দুর্যোগে ক্ষয়-ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এ সফলতা ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে । দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তেরর সৃষ্টি : ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে ’দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন -২০১২’ অনুমোদন লাভের পর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের অধীনে ’দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (ডি ডি এম)’ প্রতিষ্ঠিত হয় । দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের উদ্দেশ্য বাস্থবায়ন এই অধিদপ্তরের মান্ডেট - ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচি গ্রহনের মাধ্যমে বিভিন্ন দুর্যোগের বিপদাপন্নতা হ্রাস করা বিশেষভাবে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য কার্যকর মানবিক সহায়তা কর্মসূচি গ্রহণ করা , দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং জরুরী সাড়াদানের সাথে সংশিস্নষ্ট বিভিন্ন সরকারী ও সরকারী সংস্থাসমূহ কর্তৃক গৃহিত বিভিন্ন কর্মসূচিরর মধ্যে সমন্বয় সাধন । দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ও পরিকল্পনা সম্পর্কিত সরকারের নির্দেশাবলী এবং সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের (ডি ডি এম) অন্যতম দায়িত্ব।
 
দর্শন : ডিডিএম এর দর্শন হচ্ছে এই অধিদপ্তরকে একটি সক্রিয় প্রতিষ্ঠান, জ্ঞানপীঠ, গবেষণা কেন্দ্র এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পেশাজীবীদের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণের স্বীকৃত কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা ।   দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (ডি ডি এম) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন-২০১২ এর আলোকে হবে একটি সক্রিয় প্রতিষ্ঠান যার কাজ হবে - দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচীতে ঝুঁকি হ্রাস সম্পৃক্ত করা, দুর্যোগের নেতিবাচক প্রভাব থেকে দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের বিপদাপন্নতা হ্রাস করা, জ্ঞান, গবেষণা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা চক্রের প্রতিটি অংশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা 
লক্ষ্য: বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ দক্ষতার সাথে ব্যবস্থাপনা করার ক্ষেত্রে ডিডিএম হবে একটি সক্রিয় প্রতিষ্ঠান যার কাজ হবে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচি গ্রহন, যে কোন দুর্যোগ দক্ষতার সাথে সাড়া দান এবং দুর্যোগের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট সংস্থা সমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে সার্বিকভাবে সহায়তা প্রদান করা ।
দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রমে ব্যাপক সাফল্য থাকলেও আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন দুর্যোগের হুমকি ও চ্যালেঞ্জ এর সম্মুখীন হচ্ছি । এ রকম একটা পরিবর্তনশীল ও অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে জনগনের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান ও উন্নয়ন কার্যক্রম সফলভাবে এগিয়ে নিতে হলে প্রয়োজন বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্য, উপাত্ত ও যথাযথ প্রযুক্তি । বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কার ও বিজ্ঞান ভিত্তিক বিভিন্ন গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল, তথ্য ও উপাত্ত ব্যবহারের ফলে সাম্প্রতিক সময়ে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে উল্লেখযোগ্য সফলতা এসেছে । দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রমকে আরও বিজ্ঞানভিত্তিক, সময়োপযোগী ও সব পর্যায়ের জন্য ব্যবহারোপযোগী করে তোলা বর্তমান সরকারের অন্যতম উদ্দেশ্য । জাতির পিতা ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ওয়ারলেস এর মাধ্যমে ১৯৭২ সালে ঘূর্নিঝড়ের আগাম বার্তা প্রদানের ব্যবস্থা সংযোজন করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যে ব্যবহার শুরু করেছিলেন, তারই সুযোগ্য কন্যা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার সে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন । # অধিদপ্তরের দায়িত্ব ও কার্যাবলী: অধিদপ্তরের দায়িত্ব ও কার্যাবলী নিম্নরূপ, যথাঃ- (ক) দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার দুর্যোগের ক্ষতিকর প্রভাব সহনীয় পর্যায়ে আনিয়া সার্বিক দুর্যোগ লাঘব করা; (খ) দুর্যোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্দশাগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য জরুরি মানবিক সহায়তা, পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসন কর্মসূচি দক্ষতার সহিত পরিচালনা করা; (গ) দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস ও জরুরি সাড়াদান কার্যক্রমের সহিত সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসমূহের কার্যক্রমসমূহকে সমন্বিত, লক্ষ্যভিত্তিক ও শক্তিশালী করা; (ঘ) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা, সুপারিশ, ইত্যাদি বাস্তবায়ন করা; (ঙ) জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ও জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা; (চ) সকল ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়িয়া তুলিবার লক্ষ্যে সমীচীন ও প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করা একটি দুর্যোগ সহনশীল জাতি গঠনের উদ্দেশ্যে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন বিষয়ে আরও উন্নত শিক্ষা ও গবেষণা করার সুযোগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন । এক্ষেত্রে সরকারী ও বেসরকারী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ ও প্রনোদনা দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রমকে আরও বেগবান করবে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে; এরমধ্যে সক্ষমতার (Capacity) অভাব, প্রাতিষ্ঠানিক ও অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা, অপ্রতুল বিনিয়োগ এবং অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা উল্লেখযোগ্য । এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা সকলেই সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছি । দেশীয় উদ্যোগের পাশাপাশি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগীতার গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে ।